সকলকে নিয়ে চলাই মানুষের ধর্ম

আমাদের গুরু বলেছেন –
“আমি হিন্দু ও নই, মুসলিম ও নই, আমি একজন মানুষ ।
আমার কাজ মানুষ কে ভালোবাসা ।।
তোমরাও মানুষ কে ভালোবাসো ,
কম-জোর মানুষ কে সাথে নিয়ে চলো ।
আমি খুশি থাকবো ।।”
পরম গুরুর এই ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা “ওয়ারসি পরিবার ” স্থাপন করেছি।
আমরা সকলেই ইতিহাসের পাতায় পড়েছি “আদিম মানুষ” সম্পর্কে। তারা আহারের জন্য জীব হত্যা করলে, সকলে ভাগ করে খেয়ে খুশিতে থাকত। দুঃখের সহিত লিখছি, আজকে আমরা সভ্য জগতে পৌঁছেও অতি সাধারণ মানুষের আহার কেড়ে নিয়ে আমাদের ভবিষ্যত বা নিজের নামটা বড় করে দেখাতে চাইছি। আমাদের মনে হয়, আজকের দিনে আমরা সমাজের সঙ্গে নিজেদের মিলিয়ে দিতে পারলে, এই সমাজ কে নিজের বলে মনে করতে পারলে ‘ করোনা ভাইরাস ‘-এর মত বিপদ এর মোকাবিলা অনেক সহজ হয়ে যেতে পারে। মানুষ এই পৃথিবীতে প্রায় সব থেকে উচ্চ স্তরের প্রাণী। এই যায়গায় কিন্তু মানুষ এমনি এমনি পৌঁছে যায়নি। প্রাকৃতিক নির্বাচনের দ্বারা বিবর্তনের কথা আমরা পড়েছি সবাই। কোনো মানুষ কিন্তু একক ভাবে এই প্রকৃতির দ্বারা নির্বাচিত হয়ে শ্রেষ্ঠ প্রাণী হয়ে ওঠেনি। তারা এই নির্বাচনের যোগ্য হয়েছে সংবদ্ধ হয়ে। তাই প্রাকৃতিক নির্বাচনের ফলে প্রকৃতি তার শ্রেষ্ঠ প্রাণী কে বেছে নিলেও যে কোনো শঙ্কটের সময় এই প্রকৃতির সকল প্রান কে বাঁচাতে পারে একমাত্র মানব ধর্মের পথ। বোধহয় এই কারনেই প্রকৃতি তার শ্রেষ্ঠ প্রান কে বেছে নিয়ে তাকে নির্দেশ দেয় সকল প্রান কে রক্ষা করার। আর এই নির্দেশকে অমান্য করার অর্থ ধীরে ধীরে ধ্বংস কেই আলিঙ্গন করা।
আজকের দিনে উচ্চ-সমাজ বলছে , ‘ঈশ্বর-আল্লাহ’ বলে কিছু নেই, বিজ্ঞান-ই শেষ কথা। আমাদের হাতে মোবাইল ফোন আছে, ইন্টারনেট আছে, তাই আমরা সব কিছু করতে পারি।
আবার বৈজ্ঞানিকরা বলছে পরমেশ্বর মালিক আমাদের মাথায় যা দেয় , আমরা তারই বাস্তব রুপ দিই । যদি বিজ্ঞান-ই শেষ কথা হত তা হলে ‘ মা-বাবা ‘-র প্রয়োজন হত না।
‘ করোনা ভাইরাস ‘ এসেছে, আমরা ভাবছি লকডাউন করে বেঁচে যাব।
না! এই ভাবে বাঁচা যায় না, এর সাথে নিজেদের মধ্যে মানবিকতা ফিরিয়ে আনলে তবেই সত্যিকারের বাঁচতে পারবো । আজকের দিনে করোনা ভাইরাস -এর থেকে বড় ‘ ইন্টারনেট ভাইরাস ‘ , একবার যদি ইন্টারনেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাহলে সারা বিশ্ব থমকে যাবে।
বৈজ্ঞানিকরা ঈশ্বর -এর নিকট দু’হাত জোর করে পার্থণা করছে ” আপনি আমাদের সহায়তা করুন, যাতে আপনার সংসার কে রক্ষা করতে পারি ।” অর্থাৎ তারাও কিন্তু সেই মানব ধর্মের উপরই জোর দিচ্ছেন। হ্যাঁ ‘করোনা ভাইরাস’ এর সাথে লড়তে গেলে সামাজিক দূরত্ব অবলম্বন করা অবশ্যই দরকার। কিন্তু তার মানে কিন্তু এটা নয় নিজের মানবতা কেও বিসর্জন দিয়ে শুধু নিজের ভালো থাকা নিয়েই ভাবতে হবে।
– ওয়ারসি পরিবার